ওসি বলেন, ‘বুধবার (১৬ আগস্ট) শরিফুলের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন একজন টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী। আমরা প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পেয়েছি। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তাকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
মামলার এজহারে ওই উপস্থাপিকা-অভিনেত্রী উল্লেখ করেন, গত ২৭ মার্চ পূর্বাচলের একটি শুটিং স্পটে শরিফুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা একসঙ্গে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেছেন। এরই মধ্যে গত ১২ জুলাই শুটিংয়ের কাজে ২৮ জনের একটি দলের সঙ্গে তারাও ভারতে যান। সেখানে শুটিং শেষে তারা দু’জন আজমীর শরীফে ঘুরতে যান। সেখানে শরিফুল দেশে ফিরে ওই তরুণীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এজাহারে ধর্ষণের শিকার তরুণী লিখেছেন, দেশে ফিরে আসার পর শরিফুল উপস্থাপিকাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। উপস্থাপিকা বিয়ের বিষয়টি অভিভাবকদের মাধ্যমে সম্পন্ন করার কথা বললেও শরিফুল তাতে রাজি হয়নি। অভিভাবকদের ছাড়াই সে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এর মধ্যে গত ২ আগস্ট জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে উপস্থাপিকার বাসায় আসে শরিফুল। ওই বাসায় ওই সময় আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এক পর্যায়ে শরিফুল কয়েকদিন পরেই বিয়ে হবে— এমনটি বলে জোর করে তরুণীকে ধর্ষণ করে এবং গোপনে এর ভিডিও ধারণ করে।
এ ঘটনার পর উপস্থাপিকা যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেও শরিফুল বিভিন্ন মোবাইল থেকে ফোন করে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। তা সত্ত্বেও ওই তরুণী শরিফুলের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় শরিফুল গত ৮ আগস্ট ফেসবুকে একটি ফেক আইডি খুলে ওই আইডি থেকে উপস্থাপিকার ফেসবুক আইডিতে গোপন ভিডিও ও ছবি পাঠায়। একইসঙ্গে ভূয়া একটি ইমো আইডি থেকে উপস্থাপিকা পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের কাছেও ছবি ও ভিডিও পাঠায়। ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে বুধবার কদমতলী থানায় উপস্থাপিকা নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী।
/আরজে/টিআর/