ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের

ঢাবিচারদিকে দেশ ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তা মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘কালো দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান৷

সভাপতির বক্তব্যে ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সবসময় আলোর পক্ষে, অন্ধকারের বিরুদ্ধে। কিছু কালো মনের মানুষ ২০০৭ সালে দেশের ক্ষমতা কব্জা করেছিল বলেই আজকে কালো দিবস।দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্র অচিন্তনীয়।বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের দায়িত্ব সব চক্রান্ত রুখে দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘এদেশের মীর জাফর ও মোশতাকের বংশধরেরা এখনও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পরবর্তীকালের ক্ষমতাসীনরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের চক্রান্তের পেছনে যারা ছিল, তাদের চিহ্নিত করার সময় এসেছে।’

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷

এর আগে, ‘কালো দিবস’ উপলক্ষে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলার সময় কয়েকজন সেনাসদস্য ছাত্রদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকার সান্ধ্য আইন জারি করে এবং ২৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক এবং আটজন ছাত্রকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে।