মায়েশার মামা আইনজীবী এস এম সাইফুল ইসলাম জানান, মায়েশা এ লেভেলের ছাত্রী।
মেয়ের বরাত দিয়ে বাবা ওয়াজেদ আলী জানান, ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পাশে তৌহিদ টিউটোরিয়াল কোচিং সেন্টার থেকে কোচিং শেষে মায়েশা বের হন। তখন সেখানে তার বাবার বয়সী তিন জন লোক আসেন। তারা সাত খুন মামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, তোমার বাবা ভালো কাজ করেছেন। তোমাকে তো মিষ্টি খাওয়ানো দরকার। তখন তাকে জোর করে মিষ্টি খাওয়ানো হয়। এবং মুখে পানি ঢেলে দেয় তারা। মায়েশা দৌড়ে কোচিং সেন্টারে ঢুকে পড়ে। সে তার বাবাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। সে বলে, তারা গলা জ্বলছে। পরে স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাত সোয়া ৮টার দিকে নিয়ে আসে।
ঢামেকে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মায়েশার পাকস্থলী ওয়াশ করেন। মায়েশার মা সেলিনা ওয়াজেদও হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কের ১০৬ হাজী মঞ্জিলের চতুর্থ তলায় তৌহিদ টিউটোরিয়াল কোচিং সেন্টারে মায়েশা পড়তে গিয়েছিল। কোচিং শেষে নিচে নামলে তাকে তিন জন লোক তারা বাবার বন্ধু বলে পরিচয় দেয়। তারপর তাকে কিছু একটা খাইয়ে তারা চলে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বুধবার রাত পৌনে ১১টায় পরিবারের সঙ্গে বাসায় চলে গেছেন মায়েশা ওয়াজেদ প্রাপ্তি।