সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে চতুর্থ জাতীয় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এনএইচপিএনএসপি) জন্য ৫১৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পুষ্টিমান উন্নয়নের গতিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে– এ তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছরে অন্যান্য খাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আগামী চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার পূরণে সরকার অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
এসময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চতুর্থ সেক্টরের কর্মসূচি বাস্তবায়নে এইচএসএসপি এই সহায়তা করবে, যা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করবে। আগামী পাঁচ বছরে অর্থাৎ, ২০২২ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এতে ব্যয় হবে আনুমানিক এক হাজার ৪৮০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংক এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং গ্লোবাল ফাইনান্সিং ফ্যাসিলিটিস ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেবে।