নিখোঁজ কামালের বাবা আব্দুল মালেক জানান, ঈদের পরদিন থেকে তার ছেলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। সে আব্দুল্লার বাসায় ৬ মাস ধরে কাজ করতো। কবুতর দেখাশুনার কাজ করতো সে।
তিনি আরও জানান, আমার ছেলে জঙ্গি না। সে কাজ করতে ঢাকায় আসছিল। সে নামাজ পড়তো কিন্তু জঙ্গি না। আব্দুল্লাহ আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।
কামালের বাবা-মার ধারণা আব্দুল্লার বাসায় বিস্ফোরণে তাদের ছেলে মারা গেছে। তবে র্যাবের পক্ষ থেকে এখনও কামালের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।
কামালের মা নূরজাহান জানান, ৬ মাস আগে সে ভোলার ইলিশ্যা গ্রামে চায়ের দোকানে করতো। আব্দুল্লার মাধ্যমেই সে ঢাকায় এসে তার বাড়িতে কবুতর লালন পালনের কাজ শুরু করে। মাসে ৬ হাজার টাকা বেতন দিতো। কাজ শুরুর পর গত রমযানে ও ঈদে দুইবার বাড়ি গিয়েছিল। কোরবানির ঈদের পর কামালের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। পাঁচ সন্তানের মধ্যে কামাল দ্বিতীয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকার বাসা-২/৩/বি বাড়িটি জঙ্গি সন্দেহে ঘিরে রাখে র্যাব। মঙ্গলবার সকালে বাড়িটির ভেতর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচ থেকে ছয়টি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। ওই বাসা থেকে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। বুধবার সন্ধ্যায় নিহতদের ছিন্নভিন্ন দেহবাশেষ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:
সংঘাতে না জড়িয়েই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় বাংলাদেশ
মোদির মিয়ানমারের সমর্থনে হতবাক রিজভী
‘রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করার সাধ্য আমাদের নাই’
বাংলাদেশে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
পাহাড়ে পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের নতুন বসতি
মাকে কাঁধে নিয়ে ৬৫ কিলোমিটার হেঁটে বাংলাদেশে