আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় উঠছে শিক্ষা আইনের খসড়া: শিক্ষা সচিব

শিক্ষা সচিবআগামী সপ্তাহের মন্ত্রিসভায় শিক্ষা আইনের খসড়া উত্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর ধরে নতুন শিক্ষা আইন নিয়ে কাজ চলছে। আইনের অভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি না। তবে আগামী সপ্তাহে আইনটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন টিম কর্তৃক নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের ৬টি বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষাসচিব বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে সমালোচনা হয় আমরা জবাব দিতে পারি না। যেমন ধরুন আমাদের প্রশ্নপত্র নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়, কেউ কেউ এমনও লিখেছেন মন্ত্রী, সচিব, উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করছেন। বোর্ডের চেয়ারম্যানেরও প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ নেই।’

এ সময় শিক্ষকদের প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের কোনও সূত্র পেলে আমাদের জানান। আমরা সেটা ধরার চেষ্টা করছি। কিন্তু অনেকেই সেই সূত্র দিতে চান না। তাছাড়া ছাপাখানার ভুল আমরা ধরতে পারি না কারণ প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ থাকে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এখন এমসিকিউ পদ্ধতি একেবারে উঠিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের কনভিন্স করে শিক্ষার্থীদের ত্রিশ নম্বর পেতে সাহায্য করেন। আবার অনেক শিক্ষার্থী ভুল উত্তর দিচ্ছেন। এমনও ঘটেছে, সবগুলো বিষয়ে একজন ৮০ শতাংশ নম্বর পেলেও একটা বিষয়ের এমসিকিউতে সাত/আট নম্বর পেয়েছে। সেখানে ১০ পাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। রাজউক কলেজের ১০ জন ছাত্র একটি বিষয়ের এমসিকিউতে ৭/৮ পেয়ে ফেল করেছে। তবে ছাত্রদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাদের খাতা নিয়ে গেছে। তবে নিশ্চই কোনও কারণ ছিল। তা না হলে খাতা নিয়ে গেল কেন? এরপরেও ঢাকা বোর্ডকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। তারা কি ৩০ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮ পেয়েছে, নাকি ১০ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮ পেয়েছে।’