বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের ইঙ্গিত করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, একটি কুচক্রী মহল সরকারের সিদ্ধান্তকে বানচাল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা (বিসিএস শিক্ষকরা) জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
বক্তারা বলেন, অযোগ্য ব্যক্তিরা বেসরকারি কলেজ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায় না। নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। অথচ আমাদের নিয়োগ ও যোগ্যতা নিয়ে এখন বির্তক তৈরি করা হচ্ছে।
সংগঠনের আহ্বায়ক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক হয়ে শিক্ষকদের অসম্মান করে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। এটি কেউ আশা করেন না। আমরা দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষাকতা পেশায় যোগ দিয়েছি। তাই ক্যাডার শিক্ষক ও বেসরকারি শিক্ষকদের আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।’ দাবি মেনে না নেওয়া হলে আইনের আশ্রয় নেওয়াসহ রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
জাতীয়করণ তালিকাভুক্ত কলেজ শিক্ষক পরিষদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত কলেজগুলোর জন্য জিও (সরকারি নির্দেশ) জারি; সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের (অনার্স-মাস্টার্স ও ডিগ্রির তৃতীয় শিক্ষকসহ এমপিও-ননএমপিও) আগের ধারাবাহিকতায় ক্যাডারভুক্ত করে আত্তীকরণ; কার্যকর শতভাগ সার্ভিস গণনার মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ; জিও জারির তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ছয় মাসের মধ্যে চাকরি নিয়মিতকরণ এবং বেসরকারি কলেজের নিয়োগ স্থায়ীকরণ হলে সরকারি হওয়ার পর তা বহাল রাখা।