ওএমএস’র চাল এবার ৩০ টাকা কেজি

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম

খোলা বাজারে চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথমদিন রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় ডিলারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খাদ্য অধিদফতরের অনুমোদিত ডিলাররা রাজধানী একশ’ ৯টিসহ সারা দেশে পাঁচশ’ ২০টি ট্রাকে চাল বিক্রি করবেন। খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে ওপেন মার্কেট সেল-ওএমএস’র চাল বিক্রির ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর যখন ওএমএস চালু করা হয়, তখন বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ৩০ টাকা। তাই নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হয়েছে। এখন বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৪৫ টাকা। তাই দাম বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে সারা দেশে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ চালু হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ পরিবার ১০ টাকা কেজিতে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চাল কিনতে পারবেন। এতে চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চালের দাম বাড়ার পর থেকে শুল্ক কমিয়ে বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা, সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল কেনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের পরও চালের বাজারে এর খুব একটা প্রভাব পড়েনি। তাই দ্রুত এসব কর্মসূচি চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে এখন মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। কয়েক মাস আগেও তা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।

এদিকে রবিবার ওএমএস কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের স্থানসহ দু’টি জায়গাতেই খোলা বাজারে চাল বিক্রির কর্মসূচি দেখা যায়নি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও ছিল না কোনও ডিলারের ট্রাক। তবে কিছু সময়ের জন্য ওসমানী উদ্যানের কাছে ট্রাক দেখা গেলেও তা পরে চলে যায়। পান্থপথে ট্রাকে করে চাল বিক্রির সময় ডিলার স্বপন খান জানান, সকাল থেকেই অনেক লোকজন চাল ও আটা কিনেছেন। ডিলারদের অনেকেই সময়মতো টাকা জমা না দেওয়ায় চাল ও আটা সংগ্রহ করতে পারেননি। তবে এ সংখ্যা খুবই কম।