রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আমন্ত্রণ জানাবেন ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ

ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ




মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীন,মিয়ানমার,থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানাবেন শোলাকিয়ার খতিব শাইখুল হাদিস ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে তাদের অবস্থা দেখাতে এবং সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানাতে এ উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি জানিয়েছেন।

শুক্রবার বিকালে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয়ে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের। তিনি বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করা যাবে না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ঘৃণার চোখে দেখা হয়। মিয়ানমারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রভাব রয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তাদের অংশগ্রহণ জরুরি। আমরা চেষ্টা করবো মিয়ানমারের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আমন্ত্রণ জানাতে। তারা যেন নিজের চোখে দেখে যান রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটগুলো। একইসঙ্গে অন্যান্য দেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরদেরও আমন্ত্রণ জানাবো। সাবই মিলে উদ্যোগ নিলে একটি সমাধানের পথ তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বৌদ্ধ ধর্মের ওপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে। এটি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উপলব্ধি করতে হবে। একইসঙ্গে মিয়ানমারের সহিংসতাকে কেন্দ্র  বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায় বিশেষ করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হেনস্তার ঘটনা ঘটছে। অশুভ শক্তি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাতে পারে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিভ্রান্ত করে বিপদগামী করে তুলতে পারে। এ বিষয়ে সরকার ও দেশের মানুষের সর্তক থাকা জরুরি।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ বাসভবনে দেশের বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মতবিনিময়ের করেছেন বলেও জানান ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেন, ঢাকায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারের প্রধান ভান্তে ধর্মমিত্র মহাথেরোসহ  বৌদ্ধ নেতাদের সঙ্গে সংকট নিরসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় নেতাদের শান্তির আহ্বান নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আগুন একজন জ্বালিয়ে দিতে পারলেও সে আগুন নেভাতে লাগে ১০ জন। মিয়ানমারে অল্প কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সর্বস্তরের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এগিয়ে আসা উচিত।’

ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘মিয়ানমারের জাতির জনক জেনারেল অং সানের প্রধান সহযোগী আব্দুর রশীদ একজন মুসলিম ছিলেন। জেনারেল অং সান এবং রশীদকে হত্যা করা হয়। সেখানে বৌদ্ধ-মুসলিম সম্প্রীতি সৃষ্টিতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমি বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের আহ্বান জানিয়েছি তারা যেন মিয়ানমার সফর করে সেখানকার ধর্মগুরুদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সচেষ্ট হয়।’

আরও পড়ুন:


বাংলাদেশে বৌদ্ধদের হেনস্তা করা অন্যায়: চরমোনাইপীর