মায়ের পর চলে গেল অগ্নিদগ্ধ ছেলে


অগ্নিকাণ্ডরাজধানীর মধ্যবাড্ডায় অগ্নিদগ্ধ মায়ের পর মারা গেল ছেলে আমান উল্লাহ জিসান (১১)। এছাড়া, একই ঘটনায় দগ্ধ জিসানের ছোট বোন সানজিদা (৯) ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মধ্যবাড্ডার বৈঠাখালি এলাকার ফরিদ উদ্দিনের কাঠের তৈরি দোতলা বাড়িতে আগুন লাগে। এতে দোতলার বাসার ভাড়াটিয়া জেসমিন আক্তার ও তার দুই সন্তান দগ্ধ হয়। ওই বাড়ির নিচতলায় একটি ফার্নিচারের কারখানা ও একটি ভাঙারির গোডাউন রয়েছে। আগুনে কারখানা ও গোডাউন পুড়ে যায়। এক পর্যায়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়ির দোতলায়।

খবর পেয়ে বারিধারা ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দগ্ধ অবস্থায় জেসমিন ও তার ছেলেমেয়েকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে পরদিন সকালে মারা যান জেসমিন আক্তার। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢামেক বার্ন ইউনিটের আসাবিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানান, জেসমিন আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান। তার ছেলে জিসান সোমবার সকালে মারা যায়। জিসানের শরীরের ৩০ শতাংশ ও মেয়ে সানজিদার শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।