বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব শিশু ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ উপলক্ষে ঢামেক হাসপাতালের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে একত্রিত হয় ক্যান্সার থেকে মুক্ত হওয়া শিশু ও তাদের বাবা-মায়েরা। সেখানেই তারা শোনান তাদের যুদ্ধজয়ের গল্প। কেবল শাওন নয়, আবেগঘন এক পরিবেশে একই ধরনের কথাগুলো বলছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ স্বাদ, রিয়াদ, লুনাসহ ২৩টি ক্যান্সারজয়ী শিশুদের বাবা-মায়েরা।
অনুষ্ঠানে ঢামেক হাসপাতালের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের প্রধান ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু জানান, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত আক্রান্ত শিশুর সঠিক কোনও পরিসংখ্যান নেই। তবে বছরে প্রায় ৯ হাজার শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১৩ থেকে ১৫ লাখ বলে জানান তিনি। ডা. আমিরুল মোরশেদ জানান, দেশের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে লিউকোমিয়া ও লিন্ফোমার হার বেশি। তবে কিডনি, স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিস্ক ও হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও কম নয়।
ডা. আমিরুল মোরশেদ খসরু বলেন, ‘শিশুদের ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। তবে এর জন্য যত দ্রুতসম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব মহলের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড হাসপাতাল), শিশু হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুদের ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এসব তথ্য সবাইকে জানতে হবে। শিশুদের ক্যান্সার ধরা পড়লে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে ক্যান্সার যে ভালো হয়, তার প্রমাণ তো আজকে এখানে উপস্থিত শিশুরাই।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢামেক হাসপাতালের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জোহরা জামিলা খান, শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাহনূর ইসলাম, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ডা. ইজাজ আহমেদসহ ক্যান্সার থেকে আরোগ্য লাভ করা শিশুদের বাবা-মায়েরা। অনুষ্ঠান শেষে এসব শিশুদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-
প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবে কান দিলেই বিপদে পড়বেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী