নার্স নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস!

‘গতকাল রাত থেকেই শুনতে পাচ্ছিলাম প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, আমাদের অনেকে প্রশ্নও পেয়েছে। তখন বিশ্বাস করিনি, কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর দেখলাম, অনেকেই অন্তত ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে বের হয়ে যাচ্ছে। তখন সন্দেহ হলো, কিন্তু তখন তো আর কিছুই করার নেই। এখন বিষয়টা ছেড়ে দিয়েছি ভাগ্যের ওপর, ভাগ্যে যা থাকবে তাই হবে’, বলছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী।

ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রনার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদফতরের অধীনে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। যদিও এই প্রতিবেদক আজকের পরীক্ষার হাসনাহেনা, শিউলী, কামিনী, রজনীগন্ধা নামের চারসেট প্রশ্নপত্রের ছবি পেয়েছিলেন সকাল ৮ টা ৩৫ মিনিটেই।

এদিকে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টি গুজব, প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই ওঠে না।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পরীক্ষার্থী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সামনে থেকে কাজ করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন নেতা। তারা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এসব নেতারা ২০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব প্রশ্ন বিক্রি করেছেন।’

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এগুলো আমরা জানি না, আমাদের কাছে এ ধরণের কোনও ইনফরমেশন নেই। তবে সব পরীক্ষার আগেই কিছু কালপ্রিট রয়েছে যারা এ ধরনের গুজব তৈরি করে এবং কিছু মানুষ রয়েছে এগুলো দিয়ে পয়সা বানায়। আমাদের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমরা প্রশ্নপত্র এক সেট তৈরি করি না, একাধিক সেট করি এবং লটারি করে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেওয়া হয় পরীক্ষা শুরু হবার আধাঘণ্টা আগে। আমি নিজেও আজ সারাদিন অফিসে ছিলাম, এটাকে কেবলি গুজব বলে আমরা মনে করছি।’

প্রসঙ্গত, আজ রাজধানীর ১০টি কেন্দ্রে মোট ১৬ হাজার ৯০০ জন পরীক্ষার্থী নার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এখান থেকে নিয়োগ পাবেন ৪ হাজার ৬০০ জন।