তামাকমুক্ত দেশ গড়তে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ নীতি’ অনুমোদন

২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশে গড়তে তামাকপণ্যে আদায় করা ১ শতাংশ সারচার্জের অর্থ ব্যবস্থাপনায় ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ নীতি- ২০১৭’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক (ছবি: ফোকাস বাংলা)এর আগে, সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সংশোধন) আইন- ২০১৭ এর খসড়া এবং জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি আইন- ২০১৭ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি গাইডলাইন হিসেবে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ নীতি- ২০১৭’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন, তামাকমুক্ত থাকতে জনসাধারণকে সচেতন করা, তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ও চাষীদের তামাক উৎপাদন থেকে ফেরানোসহ ১৪টি খাত চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব খাতে সারচার্জের অর্থ ব্যয় করা হবে।

প্রসঙ্গত, সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তামাক পণ্যের ওপর ১ শতাংশ হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন এর ২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া তামাক খাত থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায়, তামাক ব্যবহারের কারণে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় সরকারকে স্বাস্থ্যখাতে তার দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।