গোলাপবাগ মাঠ মুক্ত করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে: সাঈদ খোকন

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মেয়র সাঈদ খোকনরাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরের গোলাপবাগ মাঠ অনেক প্রভাবশালীর দখলে ছিল উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, গোলাপবাগ মাঠ কোনও ছোটখাটো মানুষের দখলে ছিল না। এটা অনেক প্রভাবশালীর দখলে ছিল। সেখান থেকে এই মাঠ মুক্ত করেছি। এ জন্য অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘জলসবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন। প্রকল্পের আওতায় ডিএসসিসি এলাকার ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠ আধুনিকায়ন করা হবে।

গোলাপবাগ মাঠটি দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ দখলে ছিল। এটি দখলমুক্ত করায় এলাকার মানুষের স্বপ্নপূরণ হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র খোকন বলেন, ‘আজকে বিজয়ের দিন। প্রায় এক বছর আগে এক অনুষ্ঠানে আপনারা আমার কাছে এই মাঠ দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন। সেদিন আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ আপনাদের কাছে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে যাচ্ছি।’

মেয়র আরও বলেন, ‘মাঠটি অনেক প্রভাবশালীর দখলে ছিল। অনেক ওপর মহল থেকেও তদবির এসেছিল। আমাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে এই মাঠ দখলমুক্ত করতে। কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দেইনি। অনেক কষ্ট করে এই মাঠ আমি আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। শুধু দখলমুক্ত নয়, এই মাঠসহ আরও ১১টি খেলার মাঠ এবং ১৯টি পার্ক আন্তর্জাতিক মানের করা হবে।’

২০১৮ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা এক অনন্য রূপ ধারণ করবে। নারী, শিশু এবং বয়স্ক সবার জন্যই এসব মাঠে নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। বিভিন্ন রকম গাছ রোপণ করে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। এর ফলে এসব মাঠে সবাই খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হাঁটার সুযোগ পাবেন।’

মেয়র জানান, গোলাপবাগ মাঠে যেসব সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারমধ্যে অন্যতম হলো ভিআইপি গ্যালারি, জিম, ক্রিকেট মাঠ, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ফুটবল মাঠ, বাস্কেটবল ও টেবিল টেনিস কোর্ট, সাধারণ গ্যালারি, নারী-পুরুষের জন্য পৃথক শৌচাগার, ক্লাব অফিস, স্লিপার, অপেক্ষাগার, ব্যায়াম সরঞ্জামাদি, অফিস কক্ষ, নিরাপত্তাকক্ষ, স্টোর রুম, গ্যালারির বিপরীত দিকে বিভিন্ন ধরনের দোকান ও বাস কাউন্টার থাকবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান, স্থানীয় কাউন্সিলর আবু আহমেদ মন্নাফী, প্রধান প্রকৌশলী ফরাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান প্রমুখ।