অর্থাভাবে পুলিশের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হবে না: ডিএমপি কমিশনার

শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া (ছবি: সংগৃহীত)ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ৬৫৯ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হলো ডিএমপি’র শিক্ষাবৃত্তি। এখানে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘অর্থের অভাবে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। সবার প্রচেষ্টায় আমরা শিক্ষাবৃত্তিকে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। এই শিক্ষাবৃত্তিকে যুগ যুগ চলমান রাখতে ছয় মাসের মধ্যে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করবো।’

শনিবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকার রাজারবাগ শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে ছিল ডিএমপি’র শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান। এখানে মো. আছাদুজ্জামান মিয়া মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৪ হাজার সদস্যের অধিকাংশ নিম্নপদস্থ হওয়ায় তাদের বেতন অনেক কম। কম বেতনে নিজের পরিবারের খরচ মিটিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাদেরকে। আমরা জানি, তাদের সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবী, কিন্তু তাদের আর্থিক সমস্যার কারণে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। তাদের সহায়তা করার জন্য এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে।’

পুলিশদের কল্যাণে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তার কথায়, ‘আমার ফোর্স আমার সন্তানের মতো। আমার পরিবারের জন্য যেমন যত্ন নিই, আপনাদের বেলায়ও তাই করবো।’

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “ডিএমপি’র ৪৩ বছরের ইতিহাসে শিক্ষাবৃত্তি একটি মাইলফলক। আমরা হয়তো থাকবো না, কিন্তু এই শিক্ষাবৃত্তি আর বন্ধ হবে না। চলমান থাকবে। যতদিন যাবে এই তহবিলের পরিধিও বাড়বে।’

ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিক ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান।

২০১৬ সালের পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল পেয়েছে এমন ৯১৫ জন ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করে। আবেদনপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে উচ্চশিক্ষা সহায়তার লক্ষ্যে তিন বিভাগে ৬৫৯ জন শিক্ষার্থীকে ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।