ডিএমপি কমিশনার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা শুধু ডিএমপি’র নয়, দেশের সম্পদ। সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রতিটি সদস্য একাজকে দেশাত্ববোধ, দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেম হিসেবে নিয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনারা বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন করছেন যা প্রশংসনীয়। ইতোমধ্যে জাতীয় অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিট অনুমোদন হয়েছে। ভবিষ্যতে জঙ্গি দমনে আপনাদের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সপ্লোসিভের ওপর এটাই সিটির প্রথম প্রশিক্ষণ কর্মশালা। আমরা বিদেশ নির্ভর না হয়ে আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রশিক্ষক দিয়ে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রশিক্ষকরা প্রত্যেকে কর্মজীবনে অনেক বোম্ব ডিসপোজাল করেছে। ভবিষ্যতে ট্রেনিং আরও হবে। এটি প্রথম ট্রেনিং হিসেবে মাইলস্টোনের মতো কাজ করবে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সকল সীমাবদ্ধতাকে ঊর্ধ্বে রেখে দেশ, জাতি ও পুলিশ বাহিনীর জন্য কাজ করতে হবে।’
সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপ-কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
‘ফান্ডামেন্টাল অব এক্সপ্লোসিভ ইনসিডেন্ট রেসপন্স’ কোর্স শিরোনামে ১২ দিনের এই কোর্সে ডিএমপি’র ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র দেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হয়। ’