এলিমেন্টারি শিক্ষকদের নিয়ে বিআইএসইএস-এর কর্মশালা

এলিমেন্টারি শিক্ষকদের নিয়ে বিআইএসইএস-এর কর্মশালা

এলিমেন্টারি গ্রেড শিক্ষকদের জন্য এক কর্মশালা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংলিশ সেকশন (বিআইএসইএস)। ২৮ অক্টোবর কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন বিআইএসইএস-এর পর্ষদ চেয়ারম্যান ডা. আবুল বাশার মো. নূরুজ্জামান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, প্রশাসনিক পরিচালক গোলাম মোস্তফা ও কোষাধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান।

কর্মশালায় শিশু শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনায় রুটিনমাফিক তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পদ্ধতিতে শিক্ষকদের করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন বিআইএসইএস-এর ভাইস প্রিন্সিপাল (দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক) ইকবাল শেখ।

এসময় শ্রেণিকক্ষকে শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকরী করে তোলার কৌশল নিয়ে বিশ্বের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদদের দেওয়া তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীরা যে কোনও শিক্ষাঙ্গনের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। স্কুলে অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিশুরা এখন ডিজিটাল পরিবেশে বড় হচ্ছে। এটিকে আরও বেগবান করার জন্য শিক্ষাজীবনের শুরুতেই তাদের যত্ন নেওয়া দরকার। সে হিসেবে আজকের কর্মশালাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

এলিমেন্টারি শিক্ষকদের নিয়ে বিআইএসইএস-এর কর্মশালা

বিআইএসইএস-এর বায়োলজি বিভাগের প্রধান নিশা থমাস (দক্ষিণ ভারতীয়) বলেন, ‘এই কর্মশালা থেকে এলিমেন্টারি শিক্ষকদের পাঠ গ্রহণ ও এর ব্যবহারিক পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে শিশুরা শিক্ষা নিবে। শুধু শিক্ষাই নয়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের আচরণগুলোও তাদের সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে। তাই প্রত্যেকটি শিক্ষককে মনে রাখতে হবে, শিশুদের তিনি কেবল শিক্ষাই দেন না বরং শিক্ষার্থীর সারা জীবনে তিনি চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।’

পরে পর্ষদ কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে কর্মশালা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দেন।

এসময় ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই কর্মশালাটি মূলত শিক্ষকদের শিক্ষাদানের পদ্ধতিগত উন্নয়নের জন্য করা হয়েছে। কেননা, স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য অভিভাবকদের দাবি রয়েছে। সেটি বিবেচনায় রেখে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে এ ধরনের কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এতে এলিমেন্টারি শিক্ষকরা যথেষ্ট উপকৃত হবেন।’

পর্ষদের কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের কর্মশালা পরবর্তীতে মিডিয়াম গ্রেড এবং উচ্চতর গ্রেডের শিক্ষকদের জন্যও আয়োজন করা হবে। যিনি এর প্রশিক্ষক, প্রয়োজনে তাকে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে উচ্চতর ট্রেনিং দেওয়ার জন্য আমরা সার্বিকভাবে অর্থ সহযোগিতা দেবো।’

বিআইএসইএস-এর প্রশাসনিক পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আসলে বহুজাতিক শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত। বিভিন্ন পরিবেশ এবং নানামুখী শিক্ষা পদ্ধতি থেকে শিক্ষকরা এখানে আসেন। এ কারণে অ্যাডাপটেশনের জন্য ওরিয়েনটেশন করা জরুরি হয়ে পরে। স্কুলের নিজস্ব পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং শিশুদের উপযোগী শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকদের ধারণা দেওয়ার জন্যই এ ধরনের আয়োজন।’

সফলভাবে কর্মশালা আয়োজন করার জন্য বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল ইকবাল শেখকে ধন্যবাদ জানিয়ে পর্ষদ চেয়ারম্যান ডা. আবুল বাশার মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘সাধারণত ব্রিটিশ কাউন্সিল কিংবা এডেক্সেল এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করায় আমাদের স্কুলের জন্য এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে অভিহিত হবে বলেই আমরা মনে করি। এখানে এলিমেন্টারি শিক্ষকরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের জন্য ক্লাসরুম ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর মানসিকতার মতো করে এর পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে পরবর্তী শ্রেণিতে তাদের বিচরণ অত্যন্ত ফলদায়ক হয়ে ওঠে। এ ধরনের কর্মশালা অন্যান্য গ্রেডের জন্যও আমরা পরবর্তীতে চালু করার আশা রাখি।’