ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে ক্ষমা

সুপ্রিম কোর্টরিড ফার্মাসিউটিক্যালসের ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এক নোটিশের জবাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করলে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা করেছেন হাইকোর্ট। রিডি ফার্মার বরখাস্ত হওয়া এক কর্মকর্তা ফের কাজে যোগ দিলে মহাপরিচালককে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে ওই নোটিশ দেওয়া হয়। সোমবার (৬ নভেম্বর) এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানের ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মতিন খসরু। অন্যদিকে ওই আবেদনের বিপক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে শফিকুল ইসলাম নামের এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া সত্ত্বেও ওই কর্মকর্তা কাজে যোগ দেন এবং সরকারি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। পরে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার কাজে যোগদানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নোটিশ দেওয়া হয়।’
মনজিল মোরসেদ জানান, ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক হহাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে ক্ষমা করেন।
এর আগে, ২০০৯ সালে রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে সারাদেশে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার বিচার শেষে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পাঁচ জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত
মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারিক আদালত বলেছিলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর মামলাটি করার ক্ষেত্রে ১৯৮০ সালের ড্রাগ আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেনি। মামলায় যথাযথভাবে আলামত জব্দ করা, তা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো ও রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসামিদের দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে ড্রাগ আইনের ২৩, ২৫ ধারা প্রতিপালন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেন চরম অবহেলা, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।