পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মইনুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, মতবিরোধের জেরে তাবলিগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এছাড়া যেকোনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতের দিল্লির মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সা’দকে নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়। এক পক্ষ আগামী ইজতেমায় তাকে বাংলাদেশে আসতে দিতে নারাজ, অপর পক্ষ তাকে বাংলাদেশে আনার পক্ষে।
এ সংকট নিরসনে উলামা মাশায়েখ পরামর্শ সভাও হয়েছে একাধিকবার। গত ১৪ নভেম্বর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের আয়েশা মসজিদে এ ইস্যুতে একটি সভা হয়। সভায় হেফাজতপন্থী আলেমরা অংশ নেন। সেখানে হেফাজতপন্থী আলেমরা মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুল কুদ্দস, মাওলানা সাজিদুর রহমান প্রমুখ।
সভায় হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ আহমদ শফীর উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তার পক্ষে ছেলে মাওলানা আনাস বক্তব্য রাখেন।