অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, ‘সমাজ, সংস্কৃতি ও ধর্ম যেভাবে নারীদের রাখতে চায়, তারা যদি সেভাবে থাকেন, তাহলে তাদের জীবনে যেমন কোনও পরিবর্তন আসবে না তেমনি সমাজেও কোনও প্রভাব পড়বে না। যুগে যুগে নারীদের ঘরে বন্দি করে রাখার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়াদের মতো নারীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি।’ এ সরকার নারীর অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘শুধু কাগজে-কলমে নয়, নারীর অধিকারকে সমুন্নত রাখতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগকে সমন্বিত করতে হবে। তবে নারীকে আগে নির্যাতনমুক্ত পরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে হবে। একটি নির্যাতনমুক্ত পরিবেশ থেকেই নারী শিক্ষা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে ও পরিবারে অবদান রাখার জন্য নিজেকে তৈরি করবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. অ্যানি ভেস্টজেন্স বলেন, ‘আমরাই পারি জোট ঢাকা শহরের ১৫টি বস্তির সুবিধাবঞ্চিত নারীদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে, তাতে আমি খুবই উৎসাহ বোধ করছি।’
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় ‘সখি’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চেঞ্জমেকারদের সাফল্য, সুযোগ ও বাধাবিপত্তির কথা ওঠে আসে। নারী বলেই যে শুধুমাত্র সেলাই, ব্লক বাটিকের কাজ করতে হবে এমন ধারণা থেকে বের হওয়ার কথা ওঠে আসে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের অধিকাংশই ইলেক্ট্রনিক্স, উড ওয়ার্ক, ড্রাইভিংসহ বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণে সঙ্গে অংশ নিয়ে এখন উপার্জন করছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (এসআরএইচআর অ্যান্ড জেন্ডার) ড. এ্যানি ভেস্টজেন্স। এছাড়াও এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদসহ চেঞ্জমেকার সদস্য, নারী সংগঠনের নেত্রী, সমমনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘আমরাই পারি’ জোটের জাতীয় সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক।