তাজরীন ফ্যাশনে আগুনের ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি

গোডাউনের মধ্যে নেমে আসা সিড়ি, দু`পাশে পুড়ে যাওয়া সুতা

প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে তাজরীন ফ্যাশনে আগুনের ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত শোক সমাবেশে বক্তারা এ দাবি করেন।

সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, ১৯৯০ সালে সারাকা গার্মেন্টসে আগুনের ঘটনা থেকে শুরু করে তাজরীন ফ্যাশনের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড- সব ক্ষেত্রেই কারখানার মালিকসহ দোষী ব্যক্তিরা

প্রচলিত বিচার প্রক্রিয়ার কালক্ষেপণের কারণে বিচারের বাইরে থেকে গেছে। তবে প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে তাজরীন ঘটনার দোষীদেরসহ সব ঘটনার বিচার করতে হবে।

গার্মেন্টস মালিকদের বেশি লোভের কারণে একের পর এক গার্মেন্টস ট্রাজেডি হচ্ছে দাবি করে বক্তারা বলেন, কখনও আগুনে পুড়ছে,কখনও ভবন ধসে শত শত তাজা প্রাণ মৃত্যুর মিছিলে জায়গা করে নিচ্ছে। কারখানা আইনের চরম লঙ্ঘন করে, এমনকি অগ্নিকাণ্ডের সময় কলাপসিবল গেট ভেতর থেকে তালা বন্ধ করে দিয়ে তাজরীন ‘হত্যাকাণ্ড’ সংঘটিত হলেও দেশের প্রচলিত আইনি ব্যবস্থা ওই ‘হত্যাকারীদের’ স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারছে না।

ঘটনার পাঁচ বছর পূর্ণ হলেও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তো দূরের কথা, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার করণে আসামিরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস নিশ্চয়ই ছোট নয়, কিন্তু এ পর্যন্ত শ্রমিক হত্যার বিচারের  কোনও নজির নাই।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক  আবু হাসান টিপু প্রমুখ।