ভাড়াটিয়ার তথ্য ছাড়া বাড়ি ভাড়া, ১০ দিন পর লাশ

এই বাড়ির একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশভাড়াটিয়া ফরম পূরণ ছাড়া, কোনও ধরনের তথ্য না রেখেই বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এর ১০ দিনের মাথায় ওই বাড়ির তালাবদ্ধ কক্ষে মেলে একজন পুরুষের গলিত লাশ। ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা উধাও। ফলে নিহত ব্যক্তির পরিচয় খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মিরপুরে ১৩ নম্বর সেকশনের টিনশেড গলির একটি বাড়িতে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দোতলা বাড়িটির নিচতলায় রয়েছে পাঁচটি কক্ষ। এর মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর একটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়। বাকি চারটি কক্ষের মধ্যে একটি কক্ষে আগে থেকে বসবাস করছেন একজন নারী। অন্য তিন কক্ষ ফাঁকা।

বাড়ির মালিক জেসমিন আক্তার জানান, স্বামী-স্ত্রী, এক সন্তান ও স্ত্রীর ভাইসহ চার জন থাকার কথা বলে ১৩ নভেম্বর বাড়িটি ভাড়া নেন এক ব্যক্তি। মাসিক ভাড়া ঠিক হয়েছিল চার হাজার টাকা। তাদের বাড়ি বলেছিল গোপালগঞ্জে। স্বামীর নাম জানি না। তবে স্ত্রীর নাম বলেছিল সুমি। ১৪ নভেম্বর তারা বাড়িতে ওঠেন। ২০ নভেম্বর ভাড়াটিয়া তথ্যসহ যাবতীয় তথ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিনই ঘরটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন বাড়ির মালিক। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ওই ঘর থেকে অর্ধগলিত এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

কাফরুল থানার এসআই মো. রকিবুল হাসান বলেন, ‘বাসা ভাড়া দেওয়ার সময় ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে কোনও ধরনের তথ্য রাখেননি বাড়ির মালিক। ফলে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

যে ব্যক্তি বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন তিনিই নিহত হয়েছেন কিনা প্রশ্নে রকিবুল হাসান বলেন, ‘এটা বলা মুশকিল। কারণ, তাকে শনাক্ত করার মতো কেউ নেই। আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগও করেনি। লাশ ফুলে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় চেহারা বুঝা যাচ্ছে না। আমরা নিহত ব্যক্তির পরিচয় বের করার চেষ্টা করছি।’