মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, শিক্ষক বরখাস্ত

বলাৎকাররাজধানীর গুলিস্তানের একটি মাদ্রাসায় অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রকে গলাকেটে হত্যা করে আরেক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার সপ্তাহ না পেরোতেই মধ্য বাড্ডায় দশ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় জামিয়াতুল বালাগ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ইসমাঈলকে এ অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়।

ওই মাদ্রাসার পরিচালক খাইরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক ইসমাঈল নুরানী শাখায় পড়াতেন। এক বছর আগে তিনি এখানে যোগ দেন। ওই ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। মাদ্রাসার বাইরে গত পাঁচ ছয়দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। আজকে আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্যাতনে শিকার ছাত্রটি ১৫ দিন ধরে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত। বলাৎকারের ঘটনায় ছাত্রের পরিবার হয়তো আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিয়েছি। থানা পুলিশ এসেছিল। তাদেরও বিষয়টা জানানো হয়েছে।’

মাদ্রাসা শিক্ষক ইসমাঈল

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনও তেমন কিছু জানি না। জানার চেষ্টা করছি। এ ধরনের অভিযোগ এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে ১৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রাজধানীর গুলিস্তানের মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মো. আব্দুর রহমান জিদানকে (১৪) গলাকেটে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এর দায় স্বীকার করে এ সংক্রান্ত মামলার একমাত্র আসামি মাদ্রাসার আরেক ছাত্র মো. আবু বক্কর (১৬)।