বৈধতা পাচ্ছে বন্ধ হওয়া দারুল ইহসানের দু’লাখ সনদ

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়আদালতের রায়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি’র অন্তত দু’লাখ সনদের বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিলের পরের কোনও সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, ওই সময় হাইকোর্ট রায় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে, এই সময়ের আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই লাখেরও বেশি সনদ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বন্ধ হওয়ার আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদে যারা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, তাদের নিয়মিত পদোন্নতি, আপগ্রেডেশনসহ অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করতে আর কোনও বাধা থাকবে না। এর ফলে দারুল ইহসানের সনদে যারা এতদিন পদোন্নতি পেয়েছেন, তাদের পদোন্নতিও বহাল থাকছে। এই ইউনিভার্সিটির সনদের বৈধতা নিয়ে তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে যত সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাও বাতিল বলে গণ্য হবে।

এ ব্যাপারে বৈঠকের মুখপাত্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) জাবেদ আহমেদ বাংলা ট্র্রিবিউনকে বলেন, ‘দারুল ইহসানের সনদ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করতেই মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ার পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করে বলেন,‘২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে ওই রায় হওয়ার আগের সনদধারীদের সনদের বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।’

বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, শিক্ষাবোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মান্নান সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করে বলেন,‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়কে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সনদ অবৈধ ঘোষণা করা হয়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী যে যেখানে কর্মরত আছেন, তাদের সনদ বৈধ বলে গণ্য করা হবে। ওই সনদের ভিত্তিতে তাদের পদোন্নতিও দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালের ১৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমোদন পায়।