মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তার স্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, গত বছরের শুরুতে তাদের বিয়ে হয়। তার আগে থেকেই আকায়েদের মুখে দাঁড়ি ছিল এবং সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। বিয়ের পর বিভিন্ন সময় আকায়েদ তাকে জসিমউদ্দিন রাহমানির কিছু অডিও লেকচার শুনিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, জসিমউদ্দিন রাহমানি বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা। যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এদিকে, আকায়েদের শ্যালক হাফিজ মাহমুদ জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিটিটিসি। প্রয়োজনে আকায়েদের পরিবার সদস্যদের আবারও ডাকা হবে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের কাছে পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে বিস্ফোরণ ঘটে। এর সঙ্গে আকায়েদ উল্লাহ নামে এক বাংলাদেশি যুবকের সংশ্লিষ্টতা পায় নিউ ইয়র্ক পুলিশ। বিস্ফোরণে তার শরীরপুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি জখম হয়েছে। এখন সে হাসপাতালে। আকায়েদের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবা-মায়ের সঙ্গে সে যুক্তরাষ্ট্রে যায়। পরে আকায়েদ স্থায়ী মার্কিন নাগরিক হিসেবে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করতে শুরু করে। সেখানে ড্রাইভিংয়ের কাজ করতো সে।
আরও পড়ুন:
আকায়েদ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেলফ র্যাডিকালাইজড হয়েছে: মনিরুল ইসলাম