উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত প্রায় ৬ হাজার টাকা জনপ্রতি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। খোদ শিক্ষার্থীরাই এই অভিযোগ তুলেছেন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সরকারি ফি অনেক কম হলেও সরকারি ফি ব্যাতিত অতিরিক্ত ৫ হাজার ৭৯৫ টাকা জনপ্রতি আদায় করছে দনিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ। দনিয়া কলেজ থেকে ২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। সেই হিসাবে দেখা যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ আদায় করছে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ফি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফি বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় মানববন্ধন ও মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও মানববন্ধন করেছেন তারা। মানববন্ধনে তারা জানান, কর্তৃপক্ষ তাদের কথা কর্ণপাত করছেন না। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চাইলেও এখন পর্যন্ত কোনও কিছুই জানায়নি দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আমি আন্দোলনের বিষয়ে কিছুই জানি না। উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকা নেওয়ার কথা জানি। এটা আগের কমিটি করেছে। এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি ২ মাস হয়েছে কমিটিতে এসেছি।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, সবার তো সামর্থ্য নাই ৬ হাজার টাকা দেওয়ার। যাদের আছে তারা দিয়ে ফরম পূরণ করছে। আমাদের সন্তানের পরীক্ষা দেওয়া এখন অনিশ্চিত। কারণ নোটিশে লেখা আছে টাকা না দিলে ফর্ম পূরণ করতে দেওয়া হবে না।
ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় নিয়ে বেসরকারি কলেজ শাখার উপ-পরিচালক (কলেজ-২) মো. মেজবাহউদ্দিন সরকার জানান, কলেজের বিষয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের হলেও এই পরীক্ষার ফি সংক্রান্ত বিষয় তদারকি করেন ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকারকে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, গত ১৩ ডিসেম্বর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের কোনও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি বা পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।