প্রসঙ্গত, শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি মিসরে একটি তদন্ত দল পাঠায়।ওই তদন্ত দলের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমে মৌখিকভাবে, পরবর্তী সময়ে লিখিতভাবে বাংলাদেশকে জানায় শফিকুর রহমানের কার্যকলাপ কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী।
সূত্র জানায় তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যবসায়িক লাভের জন্য বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে পাঠানোর, হুন্ডি ব্যবসা, মিসরে অবস্থিত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ইত্যাদি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যখন একজন অভিযুক্ত থাকেন, তখন তিনি যা বলার কর্তৃপক্ষের কাছে বলে।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হযেছে। সেগুলো একেবারেই অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এগুলো বলার পজিশনে নেই।’
উল্লেখ্য, শফিকুর রহমান ২০০৩ সালে পররাষ্ট্র ক্যাডারের অফিসার হিসেবে সরকারি কাজে যোগ দেন। তিনি সৌদি আরবে সেকেন্ড সেক্রেটারি এবং ঢাকায় বিসমটেকের ডিরেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
শফিকুর রহমানের এই ঘটনার আগে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক কাউন্সিলর মো. মকসুদ খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে।