মামলার পর ‘অপহৃত’ তরুণীকে উদ্ধার

অপহরণরাজধানীর খিলগাঁওয়ে এক তরুণীকে অপহরণের অভিযোগে মামলার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। তবে অভিযুক্ত তরুণের মায়ের দাবি, তার ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছে।

ওই তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। 

ওই তরুণীর মা জানান, তারা খিলগাঁওয়ের পূর্ব গোড়ান এলাকায় থাকেন। ওই এলাকার শান্ত ইসলাম তার মেয়েকে গত ১০ নভেম্বর অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে গত ২ ডিসেম্বর শান্ত ও তার মা পারুল বেগমকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়। এরপর ধলপুরের একটি বাসা থেকে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।  

এদিকে, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শান্তর মা পারুল বেগম বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক না মেনে ওই তরুণীর স্বজনরা গত ১৯ মে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেন। এ বিয়ে মেনে না নিয়ে ওই তরুণী স্বামীকে তালাক দিয়ে পালিয়ে গিয়ে শান্তকে বিয়ে করে। তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছি। আমাদের অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’ 

এ ব্যাপারে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, ‘থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই তরুণীকে শনিবার উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রবিবার ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’