দেশের ৫০ ভাগ ইটভাটা অবৈধ: পবা

ড্রাম চিমনির ভাটাসহ দেশে বর্তমানে ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৭০০টি, যার প্রায় ৫০ ভাগই অবৈধ। এসব ইটভাটায় আধুনিক প্রযুক্তির পরিবর্তে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ড্রাম চিমনি ও ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনির ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। শনিবার ‘ইটভাটার দূষণ: হুমকিতে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

পবার সংবাদ সম্মেলনসংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ইট তৈরির ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা থাকলেও অধিকাংশ ইটভাটার সেগুলো নেই। ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে পরিবেশ বিপর্যয়, জনস্বাস্থ্য ও কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। দেশে গাছ লাগানো আজ একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমরা তার কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছি না। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইটভাটায় নির্বিচারে কাঠ পোড়ানো।

পবা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান। প্রবন্ধে বলা হয়, ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হলেও ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ভাটায় এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে অন্যান্য ভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে গাছপালা। ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয় ও কমে যাচ্ছে বনাঞ্চল।

এসময় বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক মাঠপর্যায়ে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটাগুলো চিহিৃত করা ও সেগুলো অনতিবিলম্বে বন্ধ করা; নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার মধ্যে বা নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বা স্থানে ছাড়পত্র গ্রহণকারী ইটভাটাসমূহের ছাড়পত্র, লাইসেন্স বাতিল করা এবং সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া; ইটভাটায় জ্বালানি হিসাবে কাঠ ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান; বিদ্যমান ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনিবিশিষ্ট যেসব ইটভাটা এখনও উন্নত প্রযুক্তিতে রূপান্তর করা হয়নি সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া এবং ভাটা নির্মাণে নিয়োজিত কারিগর এবং ফায়ারম্যানদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।