সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. এহসানুল করীম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আমাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের (স্বাস্থ্য সহকারী) সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।’
এহসানুল করীম আরও বলেন, ‘সারাদেশের সব স্বাস্থ্য সহকারীদের তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে কিছুটা সময় লাগবে। সেই সময়ের মধ্যে কেউ যদি কাজ বন্ধ রাখে, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেন সমস্যা হচ্ছে, জানতে চাইলে এনায়েতুর রাব্বী লিটন বলেন, ‘সরকার স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের দিয়ে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এটা সফল হয়নি। এটা তারা পারবেন না। কারণ টিকা দেওয়ার জন্য আমরাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আমরা ছাড়া কারও পক্ষে টিকা দেওয়া সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের চার দফা দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত ২০ বছরেও এই দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।’
এদিকে, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) লাইন ডিরেক্টর ডা. জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘আজ (সোমবার) আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা ছিল। গড়ে প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার থেকে চার হাজার সাতশ সেন্টারে টিকা দেওয়া হয়। শহর এলাকায় স্থানীয় সরকার কাজ করে বলে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আমাদের এই কর্মীরাই টিকা দেয়। আজ হেলথ ইন্সপেক্টর ও পরিবার পরিকল্পনাকর্মীদের দিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছে। এটা এডহকভিত্তিতে করা হয়েছে। কিন্তু অন্য স্টাফ দিয়ে একটা কর্মসূচি বেশিদিন চালানো সম্ভব নয়। আগামীকাল (মঙ্গলবার) তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য সহকারীদের চার দফা দাবিগুলো হচ্ছে— বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ ঝুঁকিভাতা প্রদান, প্রতি ৬ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ ও ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা প্রবর্তন।