দিন শেষে খুলে দেওয়া হলো ঢাবির টিএসসির চায়ের দোকান

অস্থায়ী চায়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া পর ফাঁকা টিএসসি সংলগ্ন এলাকা সারাদিন বন্ধ থাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনের সব চায়ের দোকান সন্ধ্যায় খুলে দেওয়া হয়েছে। কোনও ঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা টিএসসির সামনে গিয়ে চায়ের দোকানগুলো বন্ধ পেলে শুরু হয় সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় ওঠে।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করেছে কোনও চায়ের দোকান বন্ধ করতে বলা হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোনও এলাকাভিত্তিক কিছু বলা হয়নি। প্রক্টরিয়াল টিম নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে অনুমোদনবিহীন গাড়ি পার্ক করতে নিষেধ করছে। আর ভাসমান যে দোকানগুলো আছে তাদের সরে যেতে বলছে। আমরা কোনও নির্দিষ্ট খাবার দোকানের কথাও বলিনি।’

সন্ধ্যায় দোকান খুলে দেওয়ার পর চিরচেনা রূপে টিএসসি এলাকা তবে কয়েকজন দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম দোকান বন্ধের নির্দেশ দেয়৷ সে অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে কেউ আর দোকান খোলেননি। আজ সকালেও প্রক্টর টিম তল্লাশি চালায় বলে জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শরিফুল ইসলাম এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘এই বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে ক্লাসরু‌মের বাই‌রেও আরেকটি দু‌নিয়া আ‌ছে। সেই দু‌নিয়াতে আাড্ডা হয়, গান হয়, তর্ক হয়। হয় আরও নানা সামা‌জিক কর্মকাণ্ড। এ ধরনের উদ্যোগের মধ্য দিয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে।’

প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপত্তার অজুহাতে প্রতিক্রিয়াশীলতার চক্রে ফেলা হচ্ছে৷ যেটা ঢাবির ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তুহিন কান্তি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে টিএসসি বন্ধ করে দেওয়ার একটা পাঁয়তারা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের চিন্তা চেতনা বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞান চর্চার পথে বাধা সৃষ্টি করছে।’