এদিকে, রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে চলমান আমরণ অনশনের চতুর্থ দিনে যোগ দিয়েছেন আরও শিক্ষক। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন আরও শিক্ষক। বিভিন্ন জেলা থেকে তারা এসেছেন। এর মধ্যে রাজশাহী ও ফরিদপুর জেলার শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের কথা আমরা জানতে পেরেছি।’
বুধবার সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন লেখক, কলামিস্ট ও নাগরিক সমিতির প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, যাদের আজ শ্রেণিকক্ষে থাকার কথা ছিল, তারা আজ রাজপথে। তারা ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করছেন। সরকার বারবার আশ্বাস দিলেও এর কোনও বাস্তবায়ন চোখে পড়েনি।’
এর আগে, আমরণ অনশন কর্মসূচির তৃতীয় দিন সোমবার সকালে শিক্ষকদের অনশন ভাঙাতে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়ে তিনি অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করলে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে। শিক্ষকদের দাবি, সরকারের কাছ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আসতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য সুস্পষ্ট না বলে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। আমরণ অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিভিন্ন সময়ে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন এই একই দাবিতে। তা সত্ত্বেও ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অথবা বাড়তি ভাতার ব্যবস্থা করতে কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি। তাই আবার রাজপথে নেমেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে তারা অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তারা আমরণ অনশন ধর্মঘট পালন করছেন।