আটক আট বিকাশ এজেন্ট হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মান্নান (৩০), পাবনার আমিনপুরের মনোয়ার হোসেন মিন্টু (২৯), একই এলাকার মোজাম্মেল মোল্লা (৩৩), ডাঙ্গুরার সঙ্গীত কুমার পাল (৪৫), সাথিয়ার জামিনুল হক (৩৮), বেড়ার হোসেন আলী, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার দিদারুল হক (৩১) ও ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরের আবু বকর সিদ্দিক। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিএফআইই ’র একটি প্রতিবেদন সিআইডিতে পাঠায় বাংলাদেশ পুলিশ। সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ অনুসন্ধান করে জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র রেমিটেন্স কমানোর পেছনে কাজ করছে। এই চক্রটির অবৈধ হুন্ডি তৎপরতায় রেমিটেন্সের প্রবাহ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে অবস্থান করা কিছু হুন্ডিকারী সদস্য এ কাজটি করছে। তারা বিদেশে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে তা বৈধ পথে দেশে না পাঠিয়ে ওই সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে থাকা চক্রের মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় (টাকা) পরিশোধ করছে। দেশের ভেতরে এই টাকার লেনদেন হচ্ছে বিকাশের মাধ্যমে।
তিনি জানান, এই চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায় সিআইডি। অভিযানে আটজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দিয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।