সৌদি আরবে দুর্ঘটনা: দু’দিনেও হতাহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি দূতাবাস

ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের জিজান প্রদেশের চিহ্নিত এলাকাটিতে ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে ৭ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হন।

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনার দুই দিন পরেও নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ দূতাবাস। তবে ঘটনাস্থলে দূতাবাসের দুই প্রতিনিধি পৌঁছেছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন দুর্ঘটনায় ৭ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৫ জন দুটো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। তবে রাতে জেদ্দা কনস্যুলেট থেকে নিহত ও আহতদের নাম জানানোর কথা বলেছেন তিনি।

দেশটির জিজান প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সামটাহতে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকে করে ২২ জন প্রবাসী বাংলাদেশি কাজে যাওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় দুইদিনেও হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ দূতাবাস। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেসউইং-এর দ্বিতীয়  সচিব  মো. ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতির তথ্য সংগ্রহে তারা তৎপর রয়েছেন তবে জিজান অঞ্চলটি জেদ্দা কনস্যুলেট থেকে ৮০০ কি.মি.দূরে ও দুর্গম হওয়ায় এবং সাগরের ওপারে ইয়েমেন সীমান্ত হওয়ায় নানা নিয়মের কারণে সেখানে দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।

তবে সেখানে যাওয়া দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ জানিয়েছেন, আহতরা সামটাহ সরকারি হাসপাতাল ও আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। নিহতদের স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত ও নিহতদের সব তথ্য সংগ্রহ করছে দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সোমবার রাতেই তাদের বিষয়ে জানাবে জেদ্দা কনস্যুলেট।

জানা গেছে, জেদ্দা কনস্যুলেটের শ্রমউইং-এর কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন এবং অন্য এক কর্মকর্তা দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে রয়েছেন।

দূতাবাস সূত্র জানায়, আল-ফালাহ নামের একটি কোম্পানির পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন হতাহতরা। শনিবার সকালে ট্রাকে করে কাজে যাওয়ার পথে পেছন থেকে এক সৌদি নাগরিকের গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এর ফলে দুর্ঘটনা কবলিত হন তারা।