উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের ৫৭ শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা

সুপ্রিম কোর্টরাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজে সাধারণ কোটায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ৫৭ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই কলেজে  ‘আগে আসলে আগে ভর্তির সুযোগ’ এই পদ্ধতিতে ভর্তির প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

পাশাপশি আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচিব,স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে  রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেজিনা মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি না নিয়ে ‘আগে আসলে আগে ভর্তির সুযোগ’ ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই দিন বেলা ১১ টার পর তারিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী (মেধাক্রম ২৫৭) কলেজে গিয়ে জানতে পারেন, ইতোমধ্যেই ৫৭ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। ভর্তির সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ২৫০.৪৫। তারিকুলের দাবি, মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি করলে তিনি ভর্তির সুযোগ পেতেন।’

পরে গত ২ জানুয়ারি তারিকুলের বাবা নজরুল ইসলাম আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পদ্ধতি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে  মঙ্গলবার আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।