ব্যাংকে নিয়োগ: শাহ আলী কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ২০ জানুয়ারি

শাহ আলী মহিলা কলেজের ভেতরে পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভব্যাংকে নিয়োগে হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা আগামী ২০ তারিখ আলাদাভাবে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন খান। ওই  কেন্দ্রে আসন না থাকায় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এই কেন্দ্রের পাঁচ হাজার ৬০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম চার হাজার জন সরকারি বাঙলা কলেজে এবং এক হাজার ৬০০ জনের পরীক্ষা শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। ওই কলেজে গিয়ে মোশাররফ হোসেন খান বলেন, সামান্য অব্যবস্থাপনার কারণে আজ এত পরীক্ষার্থীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত সরকারি আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসার (সাধারণ)’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ছিল ওই কলেজ।

মিরপুরে সড়কে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদেরএই কেন্দ্রে আট হাজার ৪৬৭ জনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা না রাখায় বিক্ষোভ শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় না বসে তারা সবাই কলেজের মাঠে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা কলেজ ভবনের জানালা ভাঙচুর করেন।

পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, ৪০-৫০ জনের রুমে ১০০-১৫০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়। তারপরও সবাইকে আসন দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজের জানালা-দরজা ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে তারা কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।

পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি আসলামুল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির  সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন খান পরীক্ষার্থীদের ৫ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈঠক চলাকালে এমপির সঙ্গীরা তাদের মারধর করে কলেজ থেকে হটিয়ে দেয়। রাস্তায়ও দাঁড়াতে দেয়নি তাদের। 

আরও পড়ুন:

ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষা: মিরপুরে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান