শীতলক্ষ্যা থেকে ঢাবি ছাত্রের লাশ উদ্ধার, পুলিশের সন্দেহ ‘হত্যা’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ আহাম্মেদ জয়। সোমবার সকালে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসতে থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার নাম পারভেজ আহাম্মেদ জয় (২৫)। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।  আজ  সোমবার সকালে  রূপগঞ্জ উপজেলার বড়ালু গ্রামের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

জয় বড়ালু এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।  

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান জানান, রবিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি জয়। সোমবার দুপুরে স্থানীয়রা বড়ালু এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

জয়ের মৃত্যুর ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাঈল হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত জয়ের মায়ের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) সাজ্জাদুর রহমান  বলেন, পারভেজ আহমেদ স্থানীয় মেঘনা শ্রমজীবী মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতিতে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। রবিবার রাত আটটার দিকে মোবাইল ফোনে সমিতির টাকার হিসাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাসা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সকালে ওই সমবায় সমিতি বরাবর শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়।

ওসি সাজ্জাদুর  রহমান জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেঘনা শ্রমজীবী মাল্টিপারপাসের তিন কর্মচারী জাহাঙ্গীর, সোহাগ, শারমিনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.একেএম গোলাম রব্বানি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি ৷ তবে পুরোপুরিভাবে জানার চেষ্টা করছি ৷’