রাজধানীতে গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় চিকিৎসক রিমান্ডে

নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী রুনাকে ডিএমসি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে

রাজধানীর চকবাজারে রুনা আক্তার (১৪) নামের এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় ড. সায়েম নামের একজন গৃহকর্তাকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আটক চিকিৎসক সায়েমের স্ত্রী নীনাও একজন চিকিৎসক। এ দম্পতির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে রবিবার (২১ জানুয়ারি) চকবাজার থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার রুনার মা জায়েদা বেগম।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম উর-রশিদ তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিশুটির মা গতকাল রাতে মামলা করেছেন। এরপর চিকিৎসক সায়েমকে আমরা গ্রেফতার করেছি। আজ তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাকে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক বজলুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর রবিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী রুনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে নির্যাতিত রুনার মা জায়েদা বেগম জানান, চকবাজার থানার হোসেনি দালান এলাকায় ওই চিকিৎসক দম্পতির বাসায় দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে গৃহকর্মীর কাজ করতো রুনা। কাজ শুরু করার পর থেকেই গৃহকর্ত্রী ডা. নীনা তাকে মারধর করতেন। শনিবার তাদের সন্তানের প্রস্রাব পরিষ্কার না করার অপরাধে রুনাকে অনেক মারধর করা হয়। মারধরের পর তাকে বাথরুমে অটকে রাখা হয়েছিল। পরে ঢাকায় অবস্থান করা দু’জন স্বজনকে ফোন করে তাদের হাতে রুনাকে তুলে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে গৃহকর্ত্রী ডা. নীনা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কথা না শোনায় আমার স্বামী (ডা. সায়েম) ওই মেয়েকে দুয়েকটা চড়-থাপ্পর দিয়েছে। এরপর ওই গৃহকর্মীর পরিবার থানায় অভিযোগ দেওয়ায় পুলিশ আমার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।’

গৃহকর্মী রুনা হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের রহমত আলী ও জায়েদা বেগমের মেয়ে।