বিএসটিআই’র অভিযান: ৪ হাজার পানির জার ধ্বংস, জরিমানা

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন ৪ হাজার পানির জার ধ্বংস করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও ঢাকা জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিএসটিআই এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসোমবার দিনভর পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিএসটিআই’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা সিদ্দিকা বেগম। অভিযানে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরিচালক মো. ইসহাক আলী, সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ, তালাত মাহমুদ, আরাফাত সরকার, মো. রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

অভিযানে উত্তর শাহজাহানপুরের মৌ ড্রিংকিং ওয়াটার, দক্ষিণ খিলগাঁওয়ের মীম ফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার, তেজগাঁওয়ের এভারেস্ট ড্রিংকস অ্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্টস লিমিডেট, শাহবাগের উইনার ফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার, পূর্ব গোড়ানের সেনসিবল বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেট, গেণ্ডারিয়ার ফিনকোয়া ওয়াটার কোম্পানি, খিলক্ষেতের আরিফা এগ্রো (প্রা.) লিমিডেট, টঙ্গীর ওয়ান ওএকে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, তোপখানা রোডের দিঘী পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার, গোপীবাগের আল হেরা এন্টারপ্রাইজ ও নারায়ণগঞ্জের ভূঁইগড়ের নোয়াখালী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে মানহীন পানি সরবরাহ করায় এসব প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৪ হাজার পানির জার ধ্বংস করা হয়।

বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিএসটিআইয়ের কোনও অনুমোদন নেই। তারা বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার সরাসরি লাইন থেকে পানি নিয়ে তা জারে ভর্তি করে বিভিন্ন অফিস, দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে বিক্রি করে থাকে। অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানহীন ড্রিংকিং ওয়াটার বিএসটিআই’র অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে বিক্রয় ও বিতরণের অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে।’

সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) একদল গবেষক রাজধানী ঢাকার বোতলজাত ও জারের পানি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, ঢাকায় সরবরাহ করা পানির ৯৭ ভাগ জারে মানুষ ও প্রাণীর মলের জীবাণু ‘কলিফর্ম’ রয়েছে। গবেষকরা ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আড়াইশ জারের পানির নমুনা পরীক্ষা করে এমন তথ্য পান।