ক্যাম্পে ৫০ শতাংশ রোহিঙ্গা শিশু পাচার আতঙ্কে থাকে: রেস্টলেস বিইং

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৫০ শতাংশ শিশুই পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রাত কাটায় বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘রেস্টলেস বিইং’ রোহিঙ্গাদের ৮টি ক্যাম্পের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার সংস্থা ‘রেস্টলেস বিইং’২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৯৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘দ্য জেনোসাইড অব দ্য ইগনোরেড রোহিঙ্গা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন রেস্টলেস বিইং এর প্রতিনিধিরা।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ৮.৩ শতাংশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে পাচারকারীরা দেশের অন্য প্রান্তে কিংবা অন্যকোনও দেশে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ৪৬.৮৭ শতাংশ রোহিঙ্গারা মনে করে তারা যদি তাদের জমি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পায় তাহলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে। মিয়ানমারের থাম্ব্রু শরণার্থী ক্যাম্পের শত ভাগ নারীই জানান বার্মিজ মিলিটারিরা সবাইকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এবং এর মধ্যে কম বয়সী নারীর সংখ্যা বেশি। ১৪.৫৮ শতাংশ শরণার্থী দেখেছে যে ছোট শিশুদের টার্গেট করে মিলিটারিরা জ্বলন্ত আগুনে ছুঁড়ে ফেলে।

প্রতিবেদনের লেখক এবং গবেষণা সংস্থার পরিচালক মাবরুর আহমেদ বলেন, ‘৪৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে যা সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্টে মিয়ানমারের সেনা প্রধানের বিচার করা।’