সিঙ্গাইর মহাসড়কের ৪ হাজার গাছ কাটায় স্থিতাবস্থা

সুপ্রিম কোর্টমানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের ৪ হাজার গাছ কাটার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভিন্ন উপায়ে সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে গাছ কাটার এ সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রোড ও হাইওয়ের প্রধান প্রকৌশলী, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করার জন্য সড়কের পাশের প্রায় চার হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সহস্রাধিক গাছ কেটে ফেলাও হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। রিটের সঙ্গে পত্রিকার ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট দায়ের করা হলে আদালত গাছ কাটার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন।'

‘সিঙ্গাইরে কাটা হচ্ছে চার হাজার গাছ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন যুক্ত করে মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য মনজুরুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার জরিনা কলেজ মোড় পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এই আঞ্চলিক মহাসড়ক ১৭ ফুট চওড়া। এটি প্রশস্ত করে ২৪ ফুটে উন্নীত করা হবে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্ত করার জন্য দরপত্রের মাধ্যমে এসব গাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পরিষদ। গত বছরের ৬ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী, তিন হাজার ৭২৫টি গাছ ২৮টি গুচ্ছে বিক্রি করা হয়। সর্বোচ্চ দর এক কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৯ টাকায় গাছগুলো বিক্রি করা হয়।