শিশু প্রহরে উচ্ছ্বসিত অভিভাবকরাও

শিশু প্রহরে সোনামণিদের আনন্দ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘শিশু প্রহর’ নিয়েই ছোটদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। এই স্থানকে ঘিরে প্রতি শুক্র ও শনিবার শিশু-কিশোরদের ভিড় জমে। তাদের সঙ্গে থাকেন অভিভাবকরাও। এ স্থানে এসে শিশুদের মতো উচ্ছ্বসিত তারাও।

সরেজমিনে দেখা যায়, সময়সূচি অনুযায়ী শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরে শুরু হয় একুশে বইমেলার শিশু প্রহর। এখানে এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। ছুটির দিনে এখানে এসে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তাদের কয়েকজন বাংলা ট্রিবিউনের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।

অভিভাবক রাকিব বায়্যানী বলেন, ‘এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। আমার শিশুকে বইয়ের ভুবনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ হচ্ছে এই চত্বরে। এছাড়া তার মুখে হাসি দেখলে আমার কাছে ভালো লাগে। মেলায় শিশুদের জন্য সুন্দর একটা স্থান রাখা হয়েছে। এতে শিশুরা তাদের বুদ্ধির বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। এখানে এসে বইয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠছে তাদের।’

শিশু প্রহরে সোনামণিদের আনন্দ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)একইরকম অনুভূতি জানালেন তাহসিন আহমেদ নামে এক শিশুর বাবা। তার নাম মোস্তাক আহমেদ। তিনি বললেন, ‘একুশের মাসে বইমেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। আমাদের কাছ থেকে শিশুরা শিখবে। এজন্য অন্য কোনও স্থানে না গিয়ে তাকে শিশু প্রহরে নিয়ে এসেছি। ফলে নতুন একটা জগতের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে আমার ছেলে। এর ফলে তার বুদ্ধির বিকাশ ঘটছে।’

বই দেখছেন ছোট্ট সোনামণিরা (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)তবে কেউ কেউ অভিযোগও জানিয়েছেন। মতিউর রহমান নামের এক অভিভাবকের ভাষ্য, ‘এখানে এসে সবকিছু ভালো লাগলেও কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা দেখা যাচ্ছে। কারণ অভিভাবকদের জন্য বসার কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কতক্ষণ আর দাঁড়িয়ে থাকা যায়?’