মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোয় কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়ন ও দেশব্যাপী কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক তথ্য প্রচারণার লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিট ইউনিসেফ ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিসেস) এবং লাইন ডাইরেক্টর (এমসিআরএএইচ) ডা. মোহাম্মদ শরীফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মেলায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এ.এইচ.এম, এনায়েত হোসেন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগী প্রধান জেরন স্টিগস, ইউনিসেফ’র ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ সীমা সেন গুপ্তা।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও মূল উপস্থাপনা পেশ করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের ডা. মোহাম্মদ শরীফ, পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিসেস) ও লাইন ডাইরেক্টর (এমসিআরএএইচ)।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকার নারী শিক্ষা, বাল্য বিবাহ, কৈশোরকালীন গর্ভধারণ ইত্যাদি সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে। কিশোর-কিশোরীদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে হলে ও জীবনে সাফল্য পেতে হলে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে ও স্বাস্থ্যের যত্ম নিতে হবে। বাল্যবিবাহ ও কৈশোরকালীন গর্ভধারণ পরিহার, কৈশোরকালীন যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের বর্তমান ও ভবিষৎ জীবন এবং তাদের বংশধরদের সুস্থতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও মেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাসহ আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এনজিও, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মেলা শুরুর আগে কিশোর-কিশোরীদের শোভাযাত্রা এবং মেলা চলাকালে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।