জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

জেদ্দা কনস্যুলেটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনবিশ্বের সব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন। গতকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কনস্যুলেট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। কস্যুলেট প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোসহ বিভিন্ন আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হয়।
বুধবার সকালে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এ সময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তাসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে কনসাল জেনারেল মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃগোষ্ঠীর ভাষা বিলুপ্তপ্রায় হয়ে পড়েছে। এসব ভাষাকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য সারাবিশ্বকেই এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনের সময় সৌদি আরবের আইন-কানুনের প্রতি যত্নশীল হওয়ার জন্যও জেদ্দায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান এফ এম বোরহান উদ্দিন।
এর আগে, আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কনসাল (শ্রম) সালাহ উদ্দিন।
পরে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফুল দেওয়ার পর শহীদ মিনারে ফুল দেয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সৌদি আরব ইউনিট কমান্ড, জেদ্দার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বাংলা শাখা) ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (ইংরেজি শাখা)।
এছাড়া জেদ্দার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শেষে কনস্যুলেট মসজিদে কোরানখানির পর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কমনা করে মোনাজাত করা হয়।