সিআইডি’কে এফবিআইয়ের প্রযুক্তি সহায়তা



সিআইডি-এফবিআইপুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ ল্যাবকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিলো যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। তারা কোডিস (কম্বাইনড ডিএনএ ইনডেক্স সিস্টেম) নামের একটি সফটওয়্যার দিয়েছে এবং সেটি পরিচালনার জন্য সিআইডির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অপরাধীদের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা সহজ হবে। সফটওয়্যারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নমুনাগুলো বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে রাখে। এতে করে অপরাধ তদন্তে সময় অনেক কম লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কোডিস হস্তান্তর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে যান।সিআইডি কর্তপক্ষকে লাইসেন্সসহ কোডিস সফটওয়্যার হস্তান্তরসহ সেটি ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া ২১ জনের হাতে সনদপত্র তুলে দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

মার্সিয়া বার্নিকাট বলেন, ‘সফটওয়্যারটি অপারাধী ও অপরাধ শনাক্তে সহায়তা করবে। এটি বিজ্ঞানভিত্তিক ও নিরপেক্ষ তদন্তে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।’

সিআইডির মুখপাত্র ও অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এফবিআই আমাদের প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছে। এটি আমাদের ডিএনএ ল্যাবকে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আরও উন্নত করবে।’

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে সিআইডি কার্যালয়ে যান মার্সিয়া বার্নিকাট। বিকেল ৪টায় তিনি সিআইডি কার্যালয় ছেড়ে যান।তিনি সফটওয়্যার হস্তান্তর করার পাশাপাশি সিআইডির ডিএনএ ল্যাবটিও ঘুরে দেখেন।এসময় পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুস সালাম, সিআইডির ডিআইজি সাইফুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে কোডিস সফটওয়্যার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডিএনএ বিভাগকেও দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের পরিচয় শনাক্তে সেটি কাজে লাগে।