রাজস্বকরণের দাবিতে ফের প্রেস ক্লাবের সামনে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা

শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিজেদের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে এসেও কোনও ফল না হওয়ায় ফের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে তারা অবস্থান নেন এখানে। তাদের একমাত্র দাবি চাকরি রাজস্বকরণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা বলছেন, গত ৬ বছরে ৬৫ কোটিরও বেশিবার কমিউনিটি ক্লিনিকে আগত সেবাগ্রহীতাদের প্রাথমিক সেবা দিয়েছেন তারা। উচ্চতর পর্যায়ে রেফারেলসহ সাফল্যের সঙ্গে ৯ হাজারের বেশি স্বাভাবিক প্রসব সেবাও তারা দিয়েছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের মধ্যে সাড়ে চার হাজার জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রয়েছেন বলেও জানান তারা।
কর্মীরা আরও জানান, ২০১৩ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাদের দাবি ও আন্দোলের পর আবারও এই আশ্বাস দেওয়া হয়, তবে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য অন্যায়ভাবে আট কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের অবস্থানএর আগে বিভিন্ন সময় আন্দোলন-কর্মসূচি পালন করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। অনেকেই অবস্থান-অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়নে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার।
এর আগে, এই একই দাবিতে গত ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। তাদে কাজ না হলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানেই শুরু করেন অনশন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরিয়ে দিলে তারা মহাখালীর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
জানা গেছে, এরই মধ্যে আমরণ অনশন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ায় আট জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ট্রাস্ট গঠনের লক্ষ্যে চার সদস্যের কমিটি গঠনকরা হয়। চাকরি রাজস্বকরণ না করে ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনার উদ্যোগ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কর্মীরা।
তারা বলছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গঠনের আইন চূড়ান্ত করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন ছিল, এই ট্রাস্ট গঠন হলে সেই স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।