ঢাবিতে শুরু হলো ২য় জাতীয় গম্ভীরা উৎসব

গম্ভীরা পরিবেশন করছে একটি দলঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুল তলায় দ্বিতীয় বারের মতো শুরু হলো 'জাতীয় গম্ভীরা উৎসব ২০১৮'। দুই দিনের এ আয়োজন শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে।

আয়োজনের প্রথমদিন 'চাঁপাই গম্ভীরা', 'লোক গম্ভীরা', 'সঙ্গীতা চাঁপাই গম্ভীরা দল', 'নবাব গম্ভীরা দল' ও 'রসকস গম্ভীরা দল’ পরিবেশন করে পাঁচটি আলাদা গম্ভীরা। নানা-নাতির হাস্য-রসাত্মক কথোপকথন আর সূক্ষ্ম সমালোচনার মধ্য দিয়ে এসব গম্ভীরায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন যাত্রা, সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের চাওয়া-পাওয়া তুলে ধরা হয়।

শনিবার আরও পাঁচটি দল গম্ভীরা পরিবেশন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির এবং অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। সভাপতিত্ব করেন গম্ভীরা উৎসবের আয়োজক 'দিয়ার'-এর সভাপতি মুখলেসুর রহমান মুকুল।

অনুষ্ঠানে গম্ভীরায় বিশেষ অবদান রাখা 'কুতুবুল আলম পরিবারের' সদস্য সুজাতুল কল্লোল গম্ভীরাকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া রোজিনা আক্তার রীতা গম্ভীরার প্রচার ও প্রকাশের জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।

সাবেক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির বলেন, ‘গম্ভীরা শুধু শোনার জন্য নয়, এর অর্ন্তনিহিত অর্থ আছে। গম্ভীরা সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ তুলে ধরে।’

মুখলেসুর রহমান মুকুল বলেন, ‘গম্ভীরা কোনও আদেশ মানে না। তাই এর ওপর কোনও সেন্সরশিপও খাটে না। গম্ভীরা রাজনীতি, সমাজ ও ধর্মের অবক্ষয় তুলে ধরে এবং স্টেজেই তার সমাধান দেয়। এই কারণেই গম্ভীরা অন্য সব লোকসংগীতের চেয়ে আলাদা।’