জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি

বকশীবাজারের অস্থায়ী বিশেষ আদালতজিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আগামীকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মুলতবি রেখেছেন আদালত। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার আবেদনে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত এই দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতে এই মামলায় জামিনের আবেদন করেছি। আদালত জামিন দিয়েছেন। তার (খালেদা জিয়া) জামিন বিষয়ে আজ উচ্চ আদালতে শুনানি হবে। আদালত তাকে জামিন দিলে আগামীকাল (সোমবার) তিনি সশরীরে আদালতে হাজির হবেন।
এর আগে, বিশেষ জজ ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত মামলাটি আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আজ রবিবার। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনও বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব কারণে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।