খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি: ভিড় কমাতে ১০ মিনিট সময় দিলেন বিচারকরা

৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর আদালতে খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি আজ রবিবার দুপুর ২টায় শুরু হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হচ্ছে। তবে আদালতে বিএনপি নেতা ও আইনজীবীদের ভিড় দেখে শুরুতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত। আদালতে ভিড় কমানোর জন্য ১০ মিনিটের সময় দিয়ে এজলাস ছেড়েছেন বিচারকরা।

একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, বিচারকরা নির্ধারিত সময় দুপুর দুইটায় আদালতে প্রবেশ করে সেখানে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ও দলীয় নেতার উপস্থিতি লক্ষ্য করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় ভিড় কমানোর ব্যাপারে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিচারকরা বলেন,  এ অবস্থা থাকলে আদালতকে উঠে যেতে হবে।

এর জবাবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তাই আইনজীবীদের এত ভিড়।

আর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, আমি আগে থেকে বলেছিলাম আইনজীবীদের প্রবেশ সংখ্যা নির্ধারণ করে দেন।

এসময় আদালত বলেন, আমরা দশ মিনিটের জন্য নেমে যাচ্ছি। আপনারা এর মধ্যে দেখুন কী করবেন। এরপর বিচারপতিরা এজলাশ কক্ষ ত্যাগ করেন।

তখন এজলাশে ভিড় কমাতে আইনজীবীদের এজলাশ কক্ষ থেকে বাইরে যেতে বাধ্য করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, সভাপতি জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।

মামলায় শুনানির জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে এজলাসে উপস্থিত আছেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

আদালতে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান ও মির্জা আব্বাস, দলীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ। এছাড়াও বিএনপি সমর্থক বিপুল সংখ্যক আইনজীবী আদালতের ভেতরে উপস্থিত আছেন।

এ মামলায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আপিল গ্রহণের পর তার জরিমানা স্থগিতের আদেশ দিয়ে জামিন আবেদনের শুনানি আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটা  পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের পর থেকেই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে রাখা হয়েছে।