মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের কি আমরা কোটা সুবিধা দিতে পেরেছি, প্রশ্ন রেখে কলামিস্ট শরিফুল হাসান বলেছেন, ‘আমি মনে করি দেশের ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা অন্য সবার চেয়ে একটু হলেও এগিয়ে রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা কোটা সুবিধা পাবে মানতে রাজি আছি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা দিবেন তাও মানতে রাজি, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিদের কেন কোটা সুবিধা দেবেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে চাকরি নিয়োগে চার ধরনের কোটা রয়েছে। নারী, জেলা, মুক্তিযোদ্ধা ও আদিবাসী। যদি চার ধরনের কোটার কথায় আসি, জেলা কোটায় সুবিধা পাচ্ছে বড় জেলাগুলো। নারী কোটার কথা বলতে গেলে বলি, রাজধানীর মহিলা স্কুলগুলোর নারীরা কোটা সুবিধা পায়, ঢাকার বাইরের নারী কোটা সুবিধা পায় না। সর্বশেষ আদিবাসীর জায়গায় আসি, প্রতিটি নিয়োগে আদিবাসী কোটা শূন্য থাকে।’
রাজধানীর শুক্রাবাদে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করছে এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজেও লাইভ দেখা যাচ্ছে বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি।
মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অন্যদের মধ্যে অংশ নিয়েছেন সাবেক যুগ্ম সচিব ড. এম এ মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবীব, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয়কারী মো. রাশেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান এবং বাংলা ট্রিবিউনের চিফ নিউজ এডিটর দুলাল আহমদ চৌধুরী।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন